ফ্রোজেন শোল্ডার হলে কাঁধের সন্ধিস্থলে ব্যথা হয়,শক্ত হয়ে যায় জোড়া। আবহাওয়া যখন পরিবর্তন হয় তখন এই সমস্যা বেশি হয়। তরল পানি রাখলে যেমন জমে শক্ত হয়ে যায়, তেমনি কাঁধের সন্ধিস্থল বা জোড়া কোনো কারণে শক্ত হয়ে গেলে আর সেটি নাড়াচাড়া করা যায় না এবং নাড়াতে গেলেই ব্যথা হয়।এতে শারীরিক অসস্থি দেখা দেয় কোনো কাজ করে ভালো লাগেনা। শারীরিক সুস্থতার জন্য কাঁধের জোড়ায় ব্যথা হলেই সতর্ক হোন। কারণ, শারীরিক সুস্থতার জন্য কোনো চিকিৎসা ছাড়া কাঁধের ব্যথা দীর্ঘদিন থাকলে ফ্রোজেন শোল্ডার হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
ফ্রোজেন শোল্ডার প্রতিরোধের ৮ উপায়:
১|ফ্রোজেন শোল্ডার হলে কাঁধের আঘাতের ব্যথা হালকাভাবে না নিয়ে ব্যথা পেলে বা ব্যথা হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
২|কাঁধের জোড়ায় ব্যথা হলেই সতর্ক হোন। কারণ,কোনো চিকিৎসা ছাড়া কাঁধের ব্যথা দীর্ঘদিন থাকলে ফ্রোজেন শোল্ডার হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
৩|কাঁধে অতিরিক্ত ওজন তুলবেন না।
৪|মন্দ বা ভুল শারীরিক ভঙ্গি এড়িয়ে চলুন, খেয়াল রাখুন যেন কাঁধে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে।
৫|কাঁধের জোড়ার মাংসপেশি শিথিল রাখার জন্য ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত স্ট্রেচিং করুন।
৬|বয়স্ক রোগীদের কাঁধের জোড়ায় ব্যথা হলে আলাদা করে বিশেষ যত্ন নিন।
৭|৪০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের কাঁধের জোড়ায় ব্যথা হলে সেখানে অতিরিক্ত চাপ নেওয়া যাবে না।
৮|ঘাড়ব্যথার রোগীদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, ঘাড়ব্যথা দীর্ঘদিন থাকলে এ থেকে ফ্রোজেন শোল্ডার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ফ্রোজেন শোল্ডার চিকিত্সা প্রায়ই শারীরিক থেরাপি, ব্যথা ব্যবস্থাপনা, এবং কখনও কখনও কর্টিকোস্টেরয়েড ইনজেকশন জড়িত।কিছু ক্ষেত্রে,গতিশীলতা উন্নত করার জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।আপনি যদি সন্দেহ করেন যে আপনার হিমায়িত কাঁধ আছে,তাহলে একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করা ভাল।
সাধারণত, আপনি একজন প্রাথমিক চিকিত্সকের সাথে শুরু করতে পারেন, যিনি আপনার লক্ষণগুলি মূল্যায়ন করতে পারেন এবং প্রয়োজনে আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠাতে পারেন। অর্থোপেডিক সার্জন বা রিউমাটোলজিস্টরা প্রায়ই হিমায়িত কাঁধের রোগ নির্ণয় এবং চিকিত্সার সাথে জড়িত। তারা উপযুক্ত ইমেজিং পরীক্ষার সুপারিশ করতে পারে (যেমন এক্স-রে বা এমআরআই) এবং একটি চিকিত্সা পরিকল্পনা তৈরি করতে পারে, যার মধ্যে শারীরিক থেরাপি, ওষুধ বা ইনজেকশন অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
সুস্বাস্থ্যের জন্য একটি সুষম জীবনযাপন এবং সুস্থ অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপরের টিপসগুলো মেনে চললে আপনি আপনার শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে পারবেন এবং একটি সুখী জীবন উপভোগ করতে পারবেন। মনে রাখবেন,স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল।